সময়নিউজবিডি রিপোর্ট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর তিতাস নদীর উপর থাকা ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজ দিয়েই চলছে যানবাহন।
বিকল হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের উপর বেইলী ব্রীজ স্থাপন শেষে এক সপ্তাহ পর ব্রীজটি গতকাল সোমবার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ন এই ব্রীজ দিয়ে ২২ টনের অধিক কোন যানবাহন চলাচল করা যাবেনা মর্মে নিষধাজ্ঞা জারি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এদিকে ব্রীজটি খুলে দেয়ায় মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুন মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাজপুর ব্রীজের একাংশের রেলিং এবং ফুটপাত ধসে নদীতে পড়ে যায়। এরপর থেকে এই সেতুটির উপর দিয়ে সব ধরনের ভারী এবং মাঝারি আকারের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে দুটি আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এদিকে ৬দিন শাহবাজপুর ব্রীজের উপর দিয়ে ভারী ও মাঝারী আকারের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল তীব্র যানজট। এতে করে সীমাহীন ভোগান্তি তে পড়ে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের উপর একটি স্টীলের তৈরী বেইলী ব্রীজ বসিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজটি ১ সপ্তাহ পর গতকাল ২৪ জুন সোমবার সকালে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক, হাসান মিয়া এবং সিলেটগামী ট্রাক চালক রহিচ মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, মঙ্গলবার গাড়ি নিয়ে ব্রীজের উপর উঠলে ব্রীজটি কাঁপতে থাকে। মনে হচ্ছে এই বুঝি ভেঙ্গে নদীতে পরে যাব। তারা বলেন, ব্রীজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা গেলে হয়তোবা কোন সমস্যা হবেনা নতুবা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ জানান, ঝুঁকি এড়ানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদারকি বাড়াতে হবে। নতুবা যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান বলেন, ঝুঁকি এড়াতে ব্রীজের উপর দিয়ে ২২টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। তিনি বলেন মহাসড়কে ওজন মাপার যন্ত্র না থাকায় ভারী যানবাহন গুলো নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শাহবাজপুর ব্রীজের দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, মহাসড়কের কোথাও যানজট যেন না হয় সেজন্য হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ব্রীজের উপর ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওজন মাপার যন্ত্র না থাকায় ভারী যানবাহন গুলোকে অনুমান নির্ভর করেই নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইনাম /সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply